ঘরোয়া পদ্ধতিতে ওজন বাড়ানোর উপায়

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ওজন কি ভাবে বাড়াবো?

 প্রথমেই যে কথাটা বুঝতে হবে সেটা হল ওজন বাড়ানোর জন্য আপনাকে কিছুটা মাসেল বিল্ড করতে হবে।
এর জন্য আপনাকে কিছু ব্যায়াম করতে হবে আর বেশি খেতে হবে। এই দুইয়ের কোন বিকল্প নেই।

মাসেল বিল্ড করার কথা শুনলে অনেকে ভাবেন আমি বডিবিল্ডারদের মত মাসেল বিল্ড করতে বলছি। আমি আসলে অতো বেশি মাসেল বিল্ড করতে বলছি না।
তবে কিছুটা মাসেল বিল্ড করতে হবেই।
মাসেল বিল্ড না করে যদি খালি খেয়ে ওজন বাড়ান সেটায় আপনার গায়ে চর্বিই বাড়াবে শুধু। পেট, কোমর, হিপ এই সবই খালি বাড়বে।

আপনি অবশ্যই সেটা চাচ্ছেন না। আপনি নিশ্চয়ই চাচ্ছেন আপনার আপার বডি আর হাতে একটু মাংস লাগুক। দেখতে ভালো লাগুক। আর সে জন্য আপনাকে কিছু মাসেল বিল্ড করতেই হবে।

এখন কথা হচ্ছে সেটা কি ভাবে করবেন।

আগেই বলেছি, ২টা কাজ করতে হবে। কিছু ব্যায়াম আর খাওয়া বাড়াতে হবে।

প্রথমেই আসি খাওয়ার কথায়।

আপনি এখন যা খাচ্ছেন তাতে আপনার যে ওজন, আপনি যদি এ রকমই খেতে থাকেন আপনার ওজন সেই একই রকম থাকবে।

যদি আপনি চান যে আপনার ওজন ৫ – ৭ কেজি বাড়ুক, সে জন্য অবশ্যই আপনাকে বেশি খেতে হবে।

আরো ক্লিয়ার করে বলি, ধরে নিলাম আপনি এখন দিনে গড়ে ১৫০০ ক্যালরি খান, সেই ১৫০০ ক্যালরি খেয়ে আপনার ওজন হচ্ছে ৫৫ কেজি। (জাস্ট ধরে নিলাম।)

আপনি ব্যায়াম করেন আর যাই করেন, যদি সেই ১৫০০ ক্যালরিই খেতে থাকেন আপনার ওজন সেই ৫৫ কেজিই থাকবে। যদি ভাবেন যে আপনার ওজন বানাবেন ৬৫ কেজি তা হলে আপনাকে হয়তো ২০০০ – ২২০০ ক্যালরি খেতে হবে।

আমি আপনাকে ক্যালরির হিসাব জাস্ট বুঝানোর জন্য বললাম। এতো হিসাব তো আর আপনি করতে পারবেন না। আপনাকে আমি বেসিক কিছু বলে দিচ্ছি।

কি কি খাবেন?

আগেই বলেছি এটা ফুল ডিটেইলস বলা সম্ভব না, কিন্তু আমি একটা গাউডলাইন দিয়ে দিচ্ছি।

দিনে ৪ -৫ টা ডিম খাবেন, আর ১-২ গ্লাস দুধ খাবেন আর ২টা কলা খাবেন। এই গুলি যেন মিস না হয়।

খেজুর কিসমিস বাদাম এ সবও খাবেন। এগুলো মাঝে মধ্যে মিস যেতে পারে। কিন্তু ভালো রেসাল্ট চাইলে প্রতি দিনই খাবেন।

আর মাছ আর মুরগি যত পারেন বেশি খাবেন, কতোটুকু খাবেন সেটা আমি আর বলে দিলাম না, কিন্তু দুপুরে আর রাতে প্রতি বেলা ২-৩ পিস করে খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

যদি দেখেন এ সব খেয়েও ৪ সপ্তাহ পরে ওজন একদমই বাড়ে নি, তা হলে আস্তে আস্তে ভাত খাওয়া অল্প অল্প করে বাড়াবেন।

আর যদি বেশি খেতে না পারেন তা হলে মিল্ক শেক খাবেন। দুধের সাথে কলা মিশিয়ে মিল্ক শেক বানিয়ে রাখবেন বেশি বেশি, চুমুক দিয়ে খেয়ে ফেলবেন।

চাইলে দুই গ্লাস দুধের সাথে দুইটা কলা মিশিয়ে মিল্ক শেক বানিয়ে রেখে দিবেন। সারা দিন চুমুক দিতে থাকবেন। রাতের মধ্যে যেন শেষ হয়।

এই তো গেল খাওয়ার কথা, শুধু খেয়েই যদি যান আর কিছু না করেন, তাহলে শুধু ভুঁড়িই বাড়বে সেটা আগেই বলেছি।

সুতরাং ব্যায়াম কিছু করতেই হবে।

অনেকে বলে জিমে যাওয়ার কথা।

আপনি চাইলে অবশ্যই জিমে ভর্তি হতে পারেন। কিন্তু আমি এখানে ঘরোয়া পদ্ধতি আলোচনা করছি সাধারণ মানুষের জন্য।
[[[[[[[[[[[[[[[[[[[[[[[[[[[[[[[[[[[[TF]]]]]]]]]]]]]]]]]]]]]]]]]]]]]]]]]]

No comments

Theme images by -ASI-. Powered by Blogger.